শিরোনাম
Passenger Voice | ০২:১২ পিএম, ২০২২-০৪-১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে নিয়ে ‘ইতিবাচক’ সংবাদ না করায় এক সাংবাদিককে মারধর করেছে ছাত্রলীগের একজন কর্মী। আজ বৃহস্পতিবার হলের ১১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযুক্ত পক্ষের দাবি, ‘তর্কাতর্কি’ হয়েছে, মারধর করা হয়নি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফারহান তানভীর নাসিফ ওরফে আগুন ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী রিফাত হক একটি অনলাইন পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনায় হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রিফাত।
তিনি বলেন, 'গত ১১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে অনশনরত মহিউদ্দিন রনির অনশন ভাঙাতে যান ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ওই সময় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি যে অনলাইন পোর্টালে কাজ করি সেই অনলাইন পোর্টালে ’রনির অনশন ভাঙালেন ঢাবি ভিসি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে জয়ের নাম হাইলাইট না হওয়ায় নাসিফ আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।'
তিনি আরও বলেন, 'গতকাল এফআর হল ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের একটি লেখা আমার নিউজ পোর্টাল করে। মুনেম শাহরিয়ার ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। মুনের লেখা প্রকাশ হওয়ায় সেটি নিয়ে আজ আমাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করে নাসিফ।'
তিনি বলেন, ’তুই রিয়াজুল ইসলাম ভাইয়ের (এফ আর হল ছাত্রলীগ সভাপতি) গ্রুপে থাকিস আর নিউজ করিস অন্য গ্রুপের নেতার, নিজের গ্রুপের নেতাদের নিউজ করিস না!' এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ’তুই যদি আমার জুনিয়র হইতি তাহলে তোরে লাথি মেরে হল থেকে বের করে দিতাম।' আমি এ কথার প্রতিবাদ করলে নাসিফ আমার তলপেটে লাথি মারে, বুকে ও মুখে উপর্যুপরি ঘুষি মারে,' যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারহান তানভীর নাসিফ বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ওই সাংবাদিক অভিযোগ এনেছেন৷ তিনি আমার বন্ধু, নিজেদের মধ্যে একটু খুনসুটি হয়েছে৷'
হল ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, 'তাদের ২ জনের মধ্যে আগে থেকে কোনো ঝামেলা ছিল৷ এর জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়েছে৷ এর সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত না৷'
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত করে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷'
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.